রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দোহার উপজেলার মৈনটঘাটে বালু মহাল ও পরিবহন খাত থেকে ২০লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে দোহার থানায় মামলা হয়েছে। সেই মামলার বাদী হয়েছেন দোহারের একটি পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জাহাঙ্গীর আলম। এ মামলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আরো ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। সেই মামলায় যুবদল কর্মীকে আসামী করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। এ মামলার প্রত্যাহার ও যুবদল কর্মী রিপন খলিফাকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিলাশপুর ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।
সোমবার(২১ জুলাই)দুপুরে উপজেলার জয়পাড়া কালেমা চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৬ জুলাই গভীর রাতে রাতে এ মামলাটি হয় দোহার থানায়।
তবে তাঁদের পরিবারে অভিযোগ কি কারণে গ্রেপ্তার করেছে সেটা তাঁরা জানেন না। পুলিশ বাদী হয়ে চাঁদাবাজি মামলা হওয়াতে বেশ সমালোচনা হচ্ছে দোহার জুড়ে। জম্ম দিয়েছে নানা প্রশ্ন। কোনো ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের কাছে কেউ চাঁদা চাইলে সেই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলার করার কারণ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘গত ১৬ জুলাই মধ্যরাতে রিপন খলিফাকে তাঁর বসতবাড়ি ডেকে নিয়ে মামলার আসামী করা হয়। যে মামলায় আসামী করা হয়েছে সেখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে কেউ জানে না। তাই সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় পুলিশ তাঁদের স্বার্থ হাসিলে এ কাজ করেছে। চাঁদাবাজির যে স্থান মৈনটঘাটকে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে সেখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা নেই বলে স্থানীয়রা জানান। মানববন্ধন শেষে কালেমা চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে দোহার থানার প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন, বিলাশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক জসিম মোল্লা, জাসাসের কেন্দ্রী কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক বাউল কাশেম, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাবেক ছাত্রদল নেতা টগর, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান ঠান্ডু, পৌরসভা যুবদল নেতা বেপারী নাজমুল আরমান, বিএনপি নেতা দেলোয়ার খন্দকার, সামসুল আলম মোল্লা, শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার আখিসহ আরও অনেকে।
এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী বলেন, ‘রামনাথপুর এলাকার আদিল হাওলাদার ও আরিফ হাওলাদারের অভিযোগের প্রেরক্ষিতে মামলা নেয়া হয়েছে। ‘পুলিশ কেন মামলার বাদী’ প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘ভয়বীতি দেখিয়ে যাতে মামলাটি নষ্ট না করা হয় সেজন্য পুলিশ বাদী হয়েছে।